প্ল্যাগারিজম কাকে বলে? প্ল্যাগারিজম চেক করার উপায়

আসসালামুয়ালাইকুম, আশা করি ভালো আছেন। আপনি যদি একজন ব্লগার বা কন্টেন্ট রাইটার হয়ে থাকেন প্ল্যাগারিজম বিষয়টা জানা আপনার জন্য অত্যান্ত জরুরি। কারন আপনি কস্ট করে যত আর্টিকেল লেখুন না কেন আপনার লেখা আর্টিকেলে যদি প্ল্যাগারিজম ধরা পড়ে তাহলে আপনার পুরো কস্ট বিফলে যাবে।আপনার আর্টিকেলে যদি প্ল্যাগারিজম ধরা পড়ে তাহলে কোখনই আপনার আর্টিকেল গুগলে রেংক করবে না।বরং আপনার আর্টিকেলটি গুগল এর ব্লক লিস্টে পড়ে থাকবে।আজকে আমরা প্ল্যাগারিজম সম্পর্কে জানব যে প্ল্যাগারিজম কি ও প্ল্যাগারিজম কিভাবে কাজ করে? জানতে হলে পোস্টটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত দেখুন।

{tocify} $title={Table of Contents}

প্ল্যাগারিজম কাকে বলে

যখন আরেকজনের জিনিষ নিজের বলে চালিয়ে দেওয়া হয় তখন তাকে প্ল্যাগারিজম বলে। সহজ কথায় অন্যের কোন আর্ট, ছবি,লেখা তার অনুমতি না নিয়ে নিজের বলে দাবি করে নিজের কোন ব্লগে পব্লিশ করলে বা নিজের দাবি করলে তাকে প্ল্যাগারিজম বলে। অনলাইন জগতে চুরির দিকটা অনেক বেশি দেখা যায়।এই চুরি কে ধরতে একপ্রকার টুল রয়েছে যাকে প্ল্যাগারিজম চেকার টুল বলে। প্ল্যাগারিজম টুল সাধারনত ফ্রি হয়ে থাকে তবে কিছু কিছু টুল পেইড ব্যাবহার করতে হয়।

প্ল্যাগারিজম কত প্রকার?

প্ল্যাগারিজম সাধারনত ৩ প্রকার হয়ে থাকে। যেগুলো প্রায় একই রকম কিন্তু কিছু কিছু ক্ষেত্রে এর ভিন্নতা লক্ষ করা যায়।যথাঃ

ভারবাটিম প্ল্যাগারিজম
সেল্ফ প্ল্যাগারিজম
প্যাটশাওয়ার প্ল্যাগারিজ

প্ল্যাগারিজম কিভাবে চেক করবেন?

আপনার লেখা আর্টিকেলটি প্লারাগাইসড না কি তা চেক করার অনেক মাধ্যম রয়েছে। তার মধ্যে কিছু পেইড আর প্রায় সবগুলো ফ্রি উপায়।প্ল্যাগারিজম চেক করার জন্য অনলাইনে অনেকগুলো ফ্রি টুল রয়েছে যেগুলো ব্যাবহার করে আপনি আপনার আর্টিকেল কপিরাইট চেক করবেন।আপনি গুগল এ গিয়ে প্ল্যাগারিজম চেকার দিয়ে সার্চ করলেই আপনার সার্চলিস্টে অনেকগুলো টুল শো করবে আপনি সেখান থেকে যে কোন একাটি টুল দিয়ে আপনি আপনার কাজ চালাতে পারবেন।

জনপ্রিয় প্ল্যাগারিজম চেকার টুল বা ওয়েবসাইট

প্ল্যাগারিজম চেক করার জন্য অনেকগুলো ওয়েবসাইট রয়েছে তার মধ্যে আমি এই পোস্ট এ কয়েকটি জনপ্রিয় প্ল্যাগারিজম চেকার টুল নিয়ে আলোচনা করব।

১.Duplicheker

আমার দেখা ইন্টারেস্টিং প্ল্যাগারিজম চেকার সাইট গুলোর একটি হলো ডুপ্লিচেকার।এটি একটি অনলাইন ভিত্তিক টুল। এই টুলে আপনার লেখা আর্টিকেল নিয়ে গিয়ে কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে আপনার আর্টিকেলে প্ল্যাগারিজম আছে কি না তা চেক করতে পারবেন।আপনি এটি সম্পূর্ণ ফ্রি তে ব্যাবহার করতে পারবেন। কিন্তু আপনার আর্টিকেল ১০০০ ওয়ার্ডের বেশি হলে আপনাকে পেইড টুল টি ব্যাবহার করতে হবে।আমার মতে আপনি ফ্রি টুলটি ব্যাবহার করেও আপনার কাজ খুব সহযেই চলে যাবে।

২.Small SEO Tools

স্মোল এসিও টুলটিও খুবই জনপ্রিয় একটি প্ল্যাগারিজম চেকার টুল। এই টুল ব্যাবহার করে আপনি জানতে পারবেন যে আপনার ওয়েবসাইট এর কন্টেন্ট কেও চুরি করেছে কি না যদি কেও আপনার ওয়েবসাইট এর কন্টেন্ট চুরি করে থাকে তাহলে আপনি তার বিরুধ্যে গুগলের কাছে নালিশ জানাতে পারবেন।আপনি চাইলে এই টুলটি ব্যাবহার করতে পারবেন।

৩.PaperRater

এটি একটি অনলাইন ভিত্তিক প্লাগারিজম চেকার টুল এইটুল টি বর্তমানে ১৪০ দেশ থেকে ব্যাবহার করা হচ্ছে। আপনি চাইলে এই টুলটি আপনার ওয়েবসাইটের কন্টেন্টের প্লাগারিজম চেক করার জন্য সহযেই ব্যাবহার করতে পারেন।১০০০ শব্দের বেশি গেলে আপনাকে অবশ্যই পেমেন্ট করতে হবে

৪.Plagiarisma

এই ওয়েবসাইটটির বিশেষ কিছু সুবিধার কারনে এটি আস্তে আস্তে জনপ্রিয় হচ্ছে। যেমন এটি প্রায় ১৪০ টি ভাষা দিয়ে প্লাগারিজম চেক করা যায়। আবার কিছু কিছু ওয়েব ব্রাউজারের জন্য এটির এক্সটেনশন রয়েছে যেটি গ্রাহককে আরোও বেশি সেটিস্ফাইড করছে।

৫.Plagiarism Checker

এই টুলটির মূল বৈশিষ্ট হলো আপনি যদি এটি ব্যাবহার করে থাকেন তাহলে আপনার ব্লগের কন্টেন্ট যদি কেউ কপি করে তাহলে তা সংগে সংগে আপনাকে ই-মেইলের মাধ্যমে জানিয়ে দিবে।

আরোও কিছু টুল রয়েছে যাদের নাম নিচে দেওয়া হলোঃ

শেষ কথা

আমি এই পোস্টে প্ল্যাগারিজম কাকে বলে – Plagiarism কিভাবে চেক করবেন তা নিয়ে আলোচনা করার চেস্টা করেছি। আপনি যদি এখানে কোন কিছু না বুঝে থাকেন তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাতে ভুলবেন না

এরকম টেকনোলজি ও অনলাইন আর্নিং ব্লগিং টিপস এন্ড ট্রিক্স বিষয়ক বিভিন্ন বিষয় বস্তু জানতে আমাদের ওয়েবসাইট টি ফলো এবং ই-মেইল দিয়ে সাবস্ক্রাইব করে আমাদের পাশে থাকুন।তাহলে আমরা টেকনোলজি বিষয়ক কোন পোস্ট করার সাথে সাথে আপনার ই-মেইল এ অথবা আপনার মোবাইলে একটি নোটিফিকেশন পেয়ে যাবেন।ধন্যবাদ।