![]() |
স্যাটেলাইট কি |
স্যাটেলাইট কি - স্যাটেলাইট এর সুবিধা ও অসুবিধা কি কি
আসসালামুয়ালাইকুম,আশা করি সকলেই ভালো আছেন। স্যাটেলাইট এর নামটা জীবনে একবার হলেও আমরা শুনে থাকব।আধুনিক বিজ্ঞানের একটি গুরুত্বপূর্ন আবিষ্কার হচ্ছে স্যাটেলাইট। স্যাটেলাইট এর আবিষ্কার বিজ্ঞানকে আর এক ধাপ এগিয়ে নিয়ে এসেছে। স্যাটেলাইট এর আবিষ্কার এর ফলে আরোও কিছু গুরুত্বপূর্ন কাজ সহজ হয়ে গিয়েছে। এখন প্রশ্ন হলো এই স্যাটেলাইট টা আসলে কি, কি কি কাজের জন্য এই স্যাটেলাইট ব্যাবহার করা হয়, এর সুবিধা ও এর অসুবিধা গুলো কি কি? এই বিষয় নিয়েই আমি আপনাদের সাথে বিস্তারিত আলোচনা করব। জানতে হলে পোস্টটির শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত দেখুন।স্যাটেলাইট কি
স্যাটেলাইট শব্দের অর্থ হচ্ছে উপগ্রহ। সেটা হতে পারে প্রাকিতিক উপগ্রহ বা কৃত্রিম উপগ্রহ। কিন্ত স্যাটেলাইট শব্দটি দ্বারা মূলত কৃত্রিম উপগ্রহ কেই বুঝানো হয়ে থাকে। স্যাটেলাইট হচ্ছে যা মানুষের তৈরি এমন একটি উপগ্রহ যা রোকেটের মাধ্যমে আকাশে পাঠানো হয়েছে এবং তা প্রতিনিয়ত আমাদের পৃথীবিকে কেন্দ্র করে ঘুরছে। চাঁদ পৃথীবির একমাত্র উপগ্রহ কিন্তু পৃথীবিকে কেন্দ্র করে ঘুরছে এরকম কৃত্রিম উপগ্রহ এর সংখা অনেক।সোভিয়েত ইউনিয়ন সর্বপ্রথম কৃত্রিম উপগ্রহ স্পুটনিক-১ উৎক্ষেপণ করে 4 October 1956 সালে।এর পর থেকেই স্যাটেলাইট এর আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়। এর পর বিভিন্ন দেশ বিভিন্ন সময় স্যাটেলাইট বা কৃত্রিম উপগ্রহ মহাকাশে প্রেরণ করে। এখন পর্যন্ত ৮০০০ এরও বেশি স্যাটেলাইট মহাকাশে প্রেরন করা হয়েছে। যারা প্রতিনিয়ত আমাদের পৃথীবিকে কেন্দ্র করে ঘুরছে এবং আমাদের কে নানা ধরনের তথ্য উপাত্ত দিয়ে সাহায্য করছে।
এই স্যাটেলাইট পৃথীবির মেরু অঞ্চল কে পর্যবেক্ষণ করে মেরু অঞ্চলের কোথায় কি রয়েছে সে সম্পর্কে ধারনা দেয়
- পুরোনো ফোন কেনার আগে যে কয়েকটি বিষয় গুলো বিবেচনায় রাখবেন
স্যাটেলাইট কত প্রকার
স্যাটেলাইট কত প্রকার নিখুঁত ভাবে সেই সংখাটা বলা খুবই কঠিন কাজ। কারন এই পৃথীবি থেকে যখন কোন স্যাটেলাইট কে উৎক্ষেপণ করা হয় তখন প্রতিটি স্যাটেলাইট কে তার আলাদা আলাদা কাজের জন্য মহাকাশে পাঠানো হয়ে থাকে।নিচে কতগুলো স্যাটেলাইট সম্পর্কে আলোচনা করা হলোঃ
জিওস্টেশনারী স্যাটেলাইট
জিওস্টেশনারী স্যাটেলাইট হচ্ছে এমন এক ধরনের স্যাটেলাইট যা পৃথীবির মানুষ দেখলে বুঝবে যে স্যাটেলাইটটি আকাশের এক অবস্থানে স্থির হয়ে আছে। কারন এই স্যাটেলাইট যখন উৎক্ষেপণ করা হয় তখন এমন ভাবে তা মহাকাশে স্থাপন করা হয় যেন স্যাটেলাইটটি পৃথীবির সাথে সাথে পৃথীবিকে কেন্দ্র করে ঘুরতে থাকে। আর পৃথীবির সম গতিবেগে তা পৃথীবিকে কেন্দ্র করে ঘুরতে থাকে বলে তাকে স্থির দেখায়।এই সমস্ত স্যাটেলাইট পৃথীবি থেকে ৩৫৭,৮৬ কিমি উচ্চতায় স্থাপন করা হয়।এই স্যাটেলাইটটির কাজ হলো আমাদের পৃথীবিকে পর্যবেক্ষণ করা,রেডিও যোগাযোগ স্থাপন করা,আবহাওয়া সম্পর্কে তথ্য দেওয়া প্রভৃতি।- ডাটা এন্ট্রি করে আয় করার উপায়
কমিউনিকেশ স্যাটেলাইট
এইসব স্যাটেলাইট এর প্রধান কাজ হচ্ছে রেডিও সিংনাল কে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে স্থানান্তর করা। এছাড়াও ইন্টারনেট কানেকশন কে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে পৌছে দেওয়া।পোলার স্যাটেলাইট
পোলার স্যাটেলাইট কে তৈরি করা হয়েছে পৃথীবির মেরু অঞ্চল কে পর্যবেক্ষণ করার জন্য।এই স্যাটেলাইট পৃথীবির মেরু অঞ্চল কে পর্যবেক্ষণ করে মেরু অঞ্চলের কোথায় কি রয়েছে সে সম্পর্কে ধারনা দেয়
গ্রাউন্ড স্যাটেলাইট
এ ধরনের স্যাটেলাইট গুলোর কাজ হচ্ছে সিংনাল গ্রহন করা।রিমোট সেন্সিং স্যাটেলাইট এর সিংনাল গ্রহন করাই হচ্ছে এর প্রধান কাজ।উজার রা এইস্যাটেলাইট কে ব্যাবহার করে তাদের তথ্য কে রিমোট সেন্সিং স্যাটেলাইট এ প্রেরন করে এবং তা গ্রহন করে থাকে।
স্যাটেলাইট ব্যাবহার এর সুবিধা
স্যাটেলাইট এর সুবিধা আধুনিক বিজ্ঞান কে আর এক ধাপ এগিয়ে নিয়ে গিয়েছে। স্যাটেলাইট এর আবিষ্কার এর কারনে পৃথীবি সম্পর্কে অনেক তথ্য আমরা জানতে পেরেছি। নিচে স্যাটেলাইট এর কিছু সুবিধা নিয়ে আলোচনা করা হলো:আবহাওয়া সম্ভাব্য তথ্য
স্যাটেলাইট এর একটি বড় সুবিধা হচ্ছেঃ যে স্যাটেলাইট গুলোকে আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ এর জন্য প্রেরন করা হয়েছে সেই স্যাটেলাইট গুলো সারাক্ষণ পৃথীবির আবহাওয়া সম্ভাব্য তথ্য দিতে থাকে।কোন দিন আবহাওয়া কেমন থাকবে,কোন দিন বৃষ্টি হবে,প্রভৃতি এমন আবহাওয়া সম্ভাব্য তথ্য আগেই পাওয়া যায়।স্যাটেলাইট অন্নান্য গ্রহ উপগ্রহ সম্পর্কে ধারনা দিতে পারে
এমন অনেক স্যাটেলাইট রয়েছে যারা আমাদের মত পৃথীবি ছাড়াও অন্য যেসব গ্রহ উপগ্রহ রয়েছে সে সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য দিয়ে থাকে।এই মহাকাশে কোথায় কি হচ্ছে কোন গ্রহাণু পৃথীবির দিকে ধেয়ে আসছে সে সম্পর্কে আগে থেকেই তথ্য পাওয়া সম্ভব হচ্ছেযোগাযোগ করতে পারছি
স্যাটেলাইট কে ব্যাবহার করে রেডিও সিংনাল কে ব্যাবহার করে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে তথ্য উপাত্ত পাঠানো সম্ভব হচ্ছে। যার কারনে আগের থেকে এখন কম সময়ে যোগাযোগ ব্যাবস্থার উন্নতি হয়েছে- স্যাটেলাইট এ তেমন জ্বালানি খরচ করতে হয় না। সৌর শক্তি দ্বারা সোলার প্যানেলের মাধ্যমে সহযেই শক্তি গ্রহন করে নিজে নিজে ব্যাবহার করতে পারে।
- স্যাটেলাইট এর ব্যান্ডউইথ ৩ গিগাহার্জ হওয়ায় আমরা খুব সহযেই একে অপরের সাথে যোগাযোগ স্থাপন করতে পারি।
- অপটিকেল ফাইবার এর খরচ বেশি হওয়ায় স্যাটেলাইট এর ব্যাবহার লাভজনক
- যেসব অঞ্চলে নেটওয়ার্ক পাওয়া খুব কস্টসাধ্য ব্যাপার এই সব এলাকার জন্য স্যাটেলাইট আল্লাহ্র রহমত স্বরুপ।
স্যাটেলাইট এর কিছু অসুবিধা
- কোন স্যাটেলাইট যখন নস্ট হয়ে যায় তখন তা আর ঠিক করে পুনরায় সচল করা হয় না।এর প্রধান কারন হচ্ছে এর খরচ। অনেক বেশি খরচের কারনে তা আর ঠিক করা হয় না।
- যেগুলো স্যাটেলাইট নস্ট হয়ে যায় তা পৃথীবিতে ফিরিয়ে আনা হয় না বলে মহাকাশে এগুলো জঞ্জাল হয়ে পড়ে থাকে এবং তা মহাকাশকে দূষিত করে এবং পৃথীবির ক্ষতি করে।
- দূরে অবস্থানের কারনে অপটিকেল ফাইবার এর তুলনায় ধিরে সিংনাল প্রেরন করে।
- আবহাওয়া খারাপ হলে সিংনাল প্রেরন করতে সমস্যা হয়।
- নিয়মিত স্যাটেলাইটটির অবস্থান ও কার্যক্রম দেখাশোনা করা ঝামেলার ব্যাপার
স্যাটেলাইট এ কি কি থাকে
একটি স্যাটেলাইট এ অনেক কিছু যুক্ত করে মহাকাশে প্রেরন করা হয়।যেমনঃস্যাটেলাইটটি সচল রাখতে সেখানে থাকে সোলার প্যানেল। এছাড়াও সেখানে থাকে কতগুলো এন্টেনা যা ডাটা বা সিংনাল প্রেরনের কাজে লাগে। সেখানে অনেক গুলো হাই রেজুলেশন এর ক্যামেরা থাকে ও অসংখ কম্পিউটার সেটাপ করা থাকে।- অনলাইন শপিং এর সুবিধা ও অসুবিধা সমূহ কি কি
কিছু কথা
আজকে আমি এই পোস্ট এ স্যাটেলাইট কি - স্যাটেলাইট এর কাজ,ব্যবহার,সুবিধা এবং অসুবিধা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করেছি। এর ভিতরে আপনি যদি কোন বিষয় না বুঝে থাকেন তাহলে অবশ্যই আমাদের ফেসবুক পেজে যোগাযোগ করুন।এরকম টেকনোলজি ও অনলাইন আর্নিং বিষয়ক বিভিন্ন বিষয় বস্তু জানতে আমাদের ওয়েবসাইট টি ফলো এবং ই-মেইল দিয়ে সাবস্ক্রাইব করে আমাদের পাশে থাকুন।তাহলে আমরা টেকনোলজি বিষয়ক কোন পোস্ট করার সাথে সাথে আপনার ই-মেইল এ অথবা আপনার মোবাইলে একটি নোটিফিকেশন পেয়ে যাবেন।
ধন্যবাদ।
Post a Comment