ব্লগিং করে আয় করার উপায়
ব্লগিং করে আয় করার উপায়

ব্লগিং কি?ব্লগিং করে টাকা আয় করার ৩ টি উপায়

আসসালামুয়ালাইকুম,ব্লগ বা ব্লগিং কথাটির সাথে আমরা কোন না কোন ভাবে ঠিকি পরিচিতি। আমরা অনেকেই আছি যারা ব্লগ লিখে ব্লগিং করে ইনকাম করতে চাচ্ছি।আবার অনেকেই এখনও ভাবছি ব্লগিং করে কি আসলেই ইনকাম করা যায়?এই প্রশ্নের উত্তরে আমি বলব হ্যা ব্লগিং করে ভালো

পরিমানে টাকা ইনকাম করা যায়। আজকে আমি এই পোস্ট এর মাধ্যমে ব্লগ কি?কিভাবে ব্লগিং করে টাকা আয় করা যায়?এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব।জানতে হলে পোস্টটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত থাকুন আশা করছি অনেক কিছু জানতে পারবেন।

ব্লগ কি

ব্লগ হচ্ছে এমন একটি স্বাধীন প্লাটফর্ম যেখানে আপনি আপনার জ্ঞান, অভিজ্ঞতা লিখিত আকারে বা ভিডিও আকারে তা মানুষের মাঝেবশেয়ার করবেন। যা ওপর একজন লেখাটি পড়ে বা ভিডিও দেখে সেখান থেকে উক্ত বিষয় সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করতে পারবে।যেমন আপনি এই পোস্টটি পড়ছেন ব্লগ কি? কিভাবে ব্লগিং করে টাকা আয় করা যায়? এই বিষয়ে জানার জন্য। আপনি যে এই পোস্ট টি পড়ছেন এটাও একটি ব্লগ।
  • What is SEO

ব্লগার কাকে বলে

ব্লগার এর সজ্ঞাটা এভাবে দেওয়া যেতে পারে যে তার নিজস্ব ওয়েবসাইট এ লেখালেখি করে বা অন্য কারো ওয়েবসাইট এ গিয়ে লেখালেখির মাধ্যমে নিজের অভিজ্ঞতা শেয়ার করর তাকে এক কথায় ব্লগার বলা হয়ে থাকে।

কেন আমরা ব্লগিং করব

প্রতিটি কাজের পিছনে একটি উদ্দেশ্য থাকে তেমনি ব্লগিং করার পিছনে মানুষের একটি উদ্দেশ্য থাকে আর তা হলো ইনকাম। ব্লগিং করার মেইন উদ্দেশ্যই হলো ইনকাম করা। এই ইনকাম টি কার জন্য ভালো মানুষ এরোকমও প্রশ্ন করে থাকে।আমি বলব আমরা যারা ছাত্র বা বেকার অথবা যাদের লেখা লেখি করতে ভালো লাগে তাদের জন্য ব্লগিং টি হচ্ছে একটি বেস্ট প্লাটফর্ম।
  • ডাটা এন্ট্রি করে আয় করার উপায়

ব্লগিং শুরু করতে কি কি লাগে

ব্লগিং শুরু করার প্রথমেই আপনার যে জিনিষটার
প্রয়োজন হবে তা হলো ধৈর্য বা প্রচন্ড মনোবল।কারন ব্লগিং এর ক্ষেত্রে ধৈর্য এমন একটি জিনিষ যেটি না থাকলে আপনি ব্লগিং করে ইনকাম পর্যন্ত পৌছাতে পারবেন না।এর পর যে কয়েকটি যেনিষ আপনার প্রয়োজন হবে তা হলো
  • একটি মোবাইল বা কম্পিউটার দুইটির যে কোন একটি থাকলে আপনি ব্লগিং শুরু করতে পারেন।
  • এর পরেই যে জিনিষটি প্রয়োজন তা হলো ইন্টারনেট কানেকশন।
  • আপনার নিজস্ব একটি ওয়েবসাইট প্লাটফর্ম থাকতে হবে যেখানে আপনি প্রতিনিয়ত বিভিন্ন বিষয় বস্তু নিয়ে লেখা লেখি করবেন।একটি ওয়েবসাইট শুরু করতে প্রথমেই আপনার প্রয়োজন হবে একটি ডোমেইন আর হস্টিং।
ব্লগিং এবং ইনফরমেশন রিলেটেড সম্পর্কে জানতে এই লিংকে ক্লিক করুন

ব্লগিং করার সুবিধা কি কি?

ব্লগিং করার অনেকগুলো সুবিধা রয়েছে তার মধ্যে কিছু সুবিধা নিচে তুলে ধরা হলো

কোন চাপ নেই

ব্লগিং এর বিশেষ সুবিধাই হলো ব্লগিং করতে কোন বাধ্য বাধকতা নেই।যেমন কোন জায়গায় চাকরি করতে গেলে একটি ধরা বাধা একটি নিয়ম থাকে যে লাগাতার এতক্ষন কাজ করতে হয়ে বা এত পিস কাজ করতে হবে।ব্লগিং এর ক্ষেত্রে এর কোনটাই প্রজোয্য নয়।আপনার মন চাইলে আপনি এখানে কাজ করবেন না মন চাইলে আপনি কাজ করবেন না। অথবা আপনার যতক্ষন ইচ্ছা জাক করতে পারেন।আপনি ব্লগিং কে পার্ট-টাইম অথবা ফুল-টাইম জব হিসাবে নিতে পারেন।
  • মোবাইল দিয়ে টাকা আয় করার উপায়

আপনার জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা দুইটাই বৃদ্ধি পাবে-

আপনি যখন আপনার নিজস্ব ব্লগে লেখা লেখি করবেন তখন আপনার ব্লগিং নিয়ে অভিজ্ঞতা আস্তে আস্তে বাড়তে থাকবে এবং ব্লগিং নিয়ে সমস্ত ভুল ধারনা পাল্টে যাবে। আর তার সাথে সাথে আপনার মেধা শক্তি দিন দিন বৃদ্ধি পাবে।কারন একটি কন্টেন্ট যখন আপনার ওয়েবসাইট এ পাব্লিশ করতে যাবেন তখন আপনাকে অনেক ভাবতে হবে সেই বিষয় নিয়ে ঘাটাঘাটি করতে হবে এবং পরিশেষে তা নিজের মতন করে লিখে ওয়েবসাইট এ পাব্লিশ করতে হবে। এতে করে আপনার ঐ বিষয় নিয়ে জানাও হবে এবং তা নিয়ে একধরনের অভিজ্ঞতাও হবে।

দিন দিন ইনকাম বৃদ্ধি পাবে

ব্লগিং এর সবচেয়ে বড় সুবিধাটি হলো দিন দিন ব্লগিং এর মাধ্যমে আপনার ইনকাম বৃদ্ধি পাবে।কারন আপনার ওয়েবসাইট এর যখন একটু পরিচিতি বাড়তে থাকবে আর আপনি দীর্ঘদিন ব্লগিং এর সাথে যুক্ত থাকবেন তখন আপনার ওয়েবসাইট এ ভিজিটর অটোমেটিক ভাবে বাড়তে থাকবে এবং তার সাথে আপনার ইনকামও বৃদ্ধি পাবে।
  • Google Docs কি? গুগল ডকস এর সুবিধা

কিভাবে ব্লগিং করে টাকা আয় করা যায়-

ব্লগিং করে অনেক ভাবে একজন ব্লগার ইনকাম করতে পারে। তার মধ্যে কিছু উপায় হলো

গুগল অ্যাডসেন্স থেকে আয়

একজন ব্লগার বেসিক যে ইনকাম টা করে তা গুগল অ্যাডসেন্স থেকে।গুগল অ্যাডসেন্সে আপনি আপনার ওয়েবসাইট কে মনিটাইজেশন করে আপনি ইনকাম করতে পারেন।গুগল অ্যাডসেন্স আপনার ওয়েবসাইট এর মধ্যে ভিজিটর এর চাহিদা মতাবেক বিভিন্ন বিজ্ঞাপন প্রদর্শন করবে সেখান থেকে যত ক্লিক পড়বে সেই মতাবেক গুগল অ্যাডসেন্স আপনাকে পেমেন্ট করবে।

স্পন্সর থেকে ইনকাম

অনেক বড় বড় কম্পানি রয়েছে যারা বিভিন্ন ওয়েবসাইট এ তাদের পন্যের বিজ্ঞাপন দিয়ে থাকে
এক্ষেত্রে আপনার ওয়েবসাইট এ যদি কেও বিজ্ঞাপন দিতে চায় তাহলে আপনি তার থেকে নির্দিস্ট পরিমান অর্থের বিনিময়ে আপনি আপনার ওয়েবসাইট এ অ্যাড বসাবেন। একেই মূলত স্পন্সরশিপ বলে। আপনি স্পন্সরশিপ এর মাধ্যমে ভালো পরিমানে ইনকাম করতে পারবেন।
  • ইন্টারনেট আসক্তি থেকে মুক্তির উপায়

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয়।

আপনি যদি একজন ব্লগার হয়ে থাকেন তাহলে আপনি চাইলে আপনার ওয়েবসাইট থেকে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে ইনকাম করতে পারেন। অনেকেই আছে যারা অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে মাসে লাখ টাকার উপরে ইনকাম করে যাচ্ছে।

এরকম টেকনোলজি ও অনলাইন আর্নিং ব্লগিং টিপস এন্ড ট্রিক্স বিষয়ক বিভিন্ন বিষয় বস্তু জানতে আমাদের ওয়েবসাইট টি ফলো এবং ই-মেইল দিয়ে সাবস্ক্রাইব করে আমাদের পাশে থাকুন।তাহলে আমরা টেকনোলজি বিষয়ক কোন পোস্ট করার সাথে সাথে আপনার ই-মেইল এ অথবা আপনার মোবাইলে একটি নোটিফিকেশন পেয়ে যাবেন।
ধন্যবাদ।

Post a Comment

Previous Post Next Post