![]() |
সুস্বাস্থ্যের জন্য আমাদের করণীয় |
সুস্বাস্থ্যের জন্য আমাদের করণীয় ৬ টি বিষয়
স্বাস্থ্য আমাদের একটি মূল্যবান সম্পদ। প্রত্যেকটি মানুষের নিজস্ব স্বাস্থ্য আছে। কিন্তু সকলেই সুস্বাস্থ্যের অধিকারী নয়। সুস্বাস্থ্যবান মানুষ এবং অস্বাস্থ্যকর মানুষের মধ্যে অনেক পার্থক্য রয়েছে। সুস্বাস্থ্য এই মানুষের জীবনের সবচেয়ে বড় সম্পদ। যা সব মানুষের থাকে না। স্বাস্থ্য ভালো থাকলে মানুষের মন ভালো থাকে। একজন সুস্থ মানুষ সহজে যে সকল কাজ করতে পারে তা একজন স্বাস্থ্যবান মানুষ সহজে করতে পারেনা। একজন সুস্থ মানুষের দেহ সব সময় সবল থাকে।সে অল্পতেই ক্লান্ত হয় না। কিন্তু একজন অস্বাস্থ্যবান মানুষের দেহ দুর্বল অবস্থায় থাকে। সে অল্প পরিশ্রমে ক্লান্ত হয়ে পড়ে।আমাদের সকলকেই সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হতে হবে৷
সুস্বাস্থ্যের জন্য আমাদের যা যা করণীয়
১।আমাদের নিয়মিত পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুমাতে হবে।একজন সুস্থ মানুষের দৈনিক ৬ ঘন্টা ঘুমানো প্রয়োজন। এটি সুস্বাস্থ্যের একটি অন্যতম দিক। আবার প্রয়োজনের তুলনায় বেশি বা কম কোন কিছুই ভালো নয়। প্রয়োজনের তুলনায় বেশি বা কম ঘুমালে তা আমাদের স্বাস্থ্যের ওপর খারাপ প্রভাব ফেলতে পারে। যার কারণে আমাদের সুস্বাস্থ্যের জন্য নিয়মিত পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুমানো দরকার।
২।দ্বিতীয়ত আমাদের স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ করতে হবে। এর সাথে সাথে আমাদের সুষম খাদ্যের তালিকা মেনে চলতে হবে। যার ফলে আমাদের দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে। আবার প্রয়োজনের তুলনায় যেরকম কোন কিছুই ভাল নয় তেমনি আমাদের প্রয়োজনের তুলনায় অতিরিক্ত খাদ্য গ্রহণ করা উচিত নয়।প্রয়োজনের তুলনায় অতিরিক্ত খাদ্য গ্রহণ যা আমাদের স্বাস্থ্যের উপর খারাপ প্রভাব ফেলতে পারে। পাশাপাশি আমাদের অস্বাস্থ্যকর খাবার পরিহার করে চলতে হবে। বিশেষ করে রাস্তার বা ফুটপাতের খাবার, ফাস্টফুড সহ অতিরিক্ত তৈলাক্ত খাবার পরিহার করে চলতে হবে। আমাদের বেশি বেশি পানি পান করতে হবে। কেননা পানির অপর নাম জীবন। এইপানি জীবন বাঁচানোর পাশাপাশি পানিতে থাকা অক্সিজেন দেহের ভিতরের খাবারের সাথে বিক্রিয়া করে খাবারকে হজম করতে সাহায্য করে। একজন মানুষের দৈনিক ৫-৭ লিটার পানি পান করতে হবে। দেহের প্রয়োজনের তুলনায় কম পানি পান করলে এটি আমাদের স্বাস্থ্যের উপর খারাপ প্রভাব ফেলবে। যার ফলে আমাদের পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করতে হবে।
৩।সুস্বাস্থ্যের জন্য দৈনিক শারীরিক ব্যায়াম করতে হবে। কেননা শারীরিক ব্যায়ামের মাধ্যমে আমাদের দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। এবং আমাদের মন ও স্বাস্থ্য দুটি ভালো থাকবে।নিয়মিত শারীরিক ব্যায়াম না করলে আমাদের দেহে নানা ধরনের রোগব্যাধি বাসা বাঁধবে। যার কারণে আমাদের স্বাস্থ্য ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হবে। তাই আমাদের নিয়মিত শারীরিক ব্যায়াম করতে হবে।
৪।আমাদের রাতে যত দ্রুত সম্ভব রাতের খাবারখাওয়া উচিত। বিশেষ করে রাত ৮থেকে ৯ এর মধ্যেই রাতের খাবার খাওয়া উচিত। খাওয়ার পরে আমার অনেকেই ঘুমাতে যাই। যার ফলে আমাদের অনকে ক্ষতি হতে পারে। তাই আমাদের রাতের খবার খাওয়ার পর কিছুক্ষণ হাঁটা চলা করা উচিত। যা আমাদের খাবার সহজে হজম করতে সাহায্য করবে।
৫।ভিভিটামিন এ এর অভাবে চোখে সমস্যা দেখা দেয়।তাই আমাদের ভিটামিন এ জাতিও খাবার খেতে হবে।এর পাশাপাশি আমাদের সবুজ শাক সবজি খেতে হবে এবং ছোট মাছ বেসি করে খেতে হবে।চোখে মানুষের একটি মূল্যবান সম্পদ। তাই আমাদের সকল কে চোখের মূল্য দিতে হবে এবং এর যত্ন নিতে হবে।
এরকম করে আমাদের দেহের সকল অঙ্গ প্রত্যঙ্গের প্রতি যত্নশীল হতে হবে। কেননা প্রতিটি অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ আমাদের দেহের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে হলে আমাদেরকে প্রতিটি অঙ্গ প্রত্যঙ্গের প্রতি যত্নবান হতে হবে। কেননা এই সকল অঙ্গ প্রত্যঙ্গের মধ্যে যেকোনো একটি রোগাক্রান্ত বা অচল হয়ে পড়লে আমাদের সুস্বাস্থ্য আর ঠিক থাকবেনা।তাই আমাদের সুস্বাস্থ্যের জন্য প্রত্যেকে নিজের দেহের প্রতি এবং দেশের প্রত্যেকটি অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের প্রতি যত্নশীল হতে হবে। তবেই আমরা নিজেরা সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হতে পারব।
বিশেষ করে বর্তমান করোনা পরিস্থিতি সময় আমাদের আরও বেশি করে নিজেদের দেহের প্রতি সতর্ক হওয়া উচিত। কেননা এই সময়ে চারদিকে বহু রোগ ব্যাধির ছড়াছড়ি। তাই আমাদের এই মহামারীর হাত থেকে বাঁচতে এবং আমাদের স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে আমাদেরকে কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে।
১।আমাদের বর্তমানে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখা সবচেয়ে জরুরি কমপক্ষে তিন ফুট দূরত্ব বজায় রেখে আমাদের চলাচল করতে হবে।
২।মাক্স পরিধান করে বাহিরে চলাফেরা করতে হবে।
৩।বাহির থেকে বাসায় এসে আমাদের ভালো করে হাত-মুখ সাবান দিয়ে ধৌত করতে হবে।
৪।এই সময় আমাদের দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করা সবচেয়ে জরুরি। দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করলে তা যেকোনো ধরনের ভাইরাস এর সাথে মোকাবেলা করতে পারবে ফলে আমাদের দেহ সুস্থ থাকবে এবং ভাইরাসের হাত থেকে রক্ষা পাবে। তাই দেহে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য আমাদের বিভিন্ন পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে।
আমাদের সব সময় একটি কথা মনে রাখতে হবে যে স্বাস্থ্য আমাদের একটি মূল্যবান সম্পদ। তাই আমাদের এই স্বাস্থ্যকে ভালো রাখতে হলে নিজেদের প্রতি যত্নশীল হতে হবে। স্বাস্থ্য ভালো থাকলে আমাদের মনও ভালো থাকে। তাই আমাদেরকে সুস্বাস্থ্যের জন্য যা যা করা দরকার সে সকল কাজ করতে হবে এবং নিজেদের প্রতি যত্নশীল হতে হবে।
Post a Comment