প্যাসিভ ইনকাম মানে কি? প্যাসিভ ইনকাম সম্পর্কে বিস্তারিত
আসসালামুয়ালাইকুম,আশা করি ভালো আছেন।বর্তমানে প্রায় মানুষ প্যাসিভ ইনকাম এর দিকে বেশি ঝুঁকছেন। প্যাসিভ ইনকামে ততো বেশি কাজ করার প্রয়োজন পড়ে না বিধায় এটি মানুষের নিকট আস্তে আস্তে আরোও বেশি জনপ্রিয় হচ্ছে।একজন মানুষ চায় তার কাজের পাশাপাশি এমন একটি ইনকাম সোর্স থাকুক যাতে করে তাকে সেখানে তেমন কনো কাজ না করেই ভালো পরিমানে একটি ইনকাম জেনারেট করতে।আজকে আমি এই বিষয় নিয়েই আলোচনা করব যে প্যাসিভ ইনকাম কি? প্যাসিভ ইনকামের সেরা উপায়গুলো কি কি বিস্তারিত।জানতে হলে পোস্টটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত দেখতে থাকুন।
{tocify} $title={Table of Contents}
প্যাসিভ ইনকাম কি?
একটি কাজে তেমন কোন পরিস্রম না দিয়ে সেখান থেকে প্রতি মাসে একটি ভালো পরিমানে টাকা ইনকাম জেনারেট করাকে মূলত প্যাসিভ ইনকাম বলে।একবার ভালো পরিমানে কাজ করার পর সেখান থেকে অটোমেটিকলি ইনকাম হতে থাকবে।একটা প্যাসিভ ইনকামের ক্ষেত্র দাড় করানো এতো সহজও নয় তার জন্য প্রয়োজন প্রচুর ইচ্ছা শক্তি, ধৈর্য আর সময়।আপনি যদি প্যাসিভ ইনকামের মাধ্যমে রাতারাতি ধনি হয়ে যাওয়ার সপ্ন দেখে তাহলে প্যাসিভ ইনকামের পথটি আপনার জন্য নয়।
প্যাসিভ ইনকাম এর উপায়সমূহ
প্যাসিভ ইনকাম জেনারেট করার অনেকগুলো উপায় রয়েছে যেগুলো থেকে আপনি আপনার জন্য সময় উপযোগী উপায়টি বেছে নিতে পারেন।
ইউটুবিং করা
এখনকার সময়ে জনপ্রিয় প্যাসিভ ইনকাম করার একটি বড় মাধ্যম হচ্ছে ইউটুব ভিডিও তৈরি করা। এখন অনেকেই ইউটুব ভিডিও তৈরি করে ইউটুব পার্টনার প্রগ্রামে যুক্ত হয়ে মাসে ১ লক্ষ বা তারও বেশি ইনকাম করে যাচ্ছে।আর যখন আপনার ইউটুব চ্যানেল কিছুটা গ্রোথ হয়ে যাবে তখন আপনি সেখানে বেশি কাজ না করলেও আপনার ভালো পরিমানে ইনকাম হতে থাকবে।বিশেষ করে আপনার যদি আগে থেকেই কোন একটা ব্যাবসা থাকে আর আপনি যদি আপনার ইউটুব চ্যানেলে আপনার প্রডাক্ট নিয়ে রিভিউ দিতে থাকেন তাহলে আপনার ব্যাবসা আগের চেয়ে আরোও গ্রথ বৃদ্ধি পাবে আবার পাশাপাশি আপনি ইউটুব থেকে আপনার একটি ইনকাম আসতে থাকবে।
ব্লগিং করা
প্যাসিভ ইনকামের আর একটি উপায় হচ্ছে ব্লগিং।ইউটুবের মতো ব্লগিং করেও আপনি মাসে এভারেজ পরিমাণে প্যাসিভ ইনকাম জেনারেট করতে পারেন।ব্লগিং হচ্ছে একটি এমন প্লার্টফর্ম যেখান থেকে আপনি আপনার মধ্যে লুকায়িত জ্ঞান লিখে সকলের মাঝে ছড়িয়ে দিতে পারবেন।আপনার যদি লেখালেখি করতে ভালোলাগে তাহলে ব্লগিং হতে পারে আপনার জন্য বেস্ট একটি আফশন।ব্লগিং শুরু করতে হলে আপনাকে প্রথমেই একটি যিনিষের প্রয়োজন পড়বে তা হলো ওয়েবসাইট। যেখানে আপনি আপনার লেখা বিষয় বস্তু পাব্লিশ করবেন।একটি ওয়েবসাইট এর জন্য ২ টি জিনিষের প্রয়োজন হয় ১.ডোমেইন ২.হোস্টিং যেগুলো কিনে নিতে হয়।কিন্তু আপনি চাইলে প্রথম অবস্থায় ফ্রিতে ব্লগিং শুরু করতে পারেন।এজন্য গুগল এর blogger.com থেকে একটি ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারেন।এখানে হোস্টিং লাইফটাইম ফ্রি,সাথে সাথে একটি সাবডোমেইন ও পেয়ে যাবেন ফ্রি।তবে সাবডোমেইন ব্যাবহার না করাই ভালো। শুধু একটি কাস্টম ডোমেইন এড করে নিবেন।তাহলে সহযেই এডসেন্স পেয়ে যাবেন।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং
কোন একটি কম্পানির প্রডাক্ট সেল করে যে টাকা আয় করা হয় তাকে মূলত অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং বলে।আপনি যেনে অবাক হয়ে যাবেন যে একজন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটারের মাসিক বেতন ১ লক্ষের উপরেও হয়ে থাকে।আপনার কাছে যদি একটি কম্পিউটার থাকে তাহলে আপনি ঘরে বসে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করে দিতে পারেন।
গ্রাফিক্স ডিজাইন সেল
আপনি যদি একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনার হয়ে থাকেন তাহলে আপনি আপনার বুদ্ধিমাত্রাকে কাজে লাগিয়ে সুন্দর সুন্দর ডিজাইন বানিয়ে তা বিভিন্ন মার্কেট প্লেসে সেল দিতে পারেন।আপনার ডিজাইনটি যতবার সেল হবে ততোবার আপনি সেখান থেকে কমিশন আয় করতে থাকবেন।আপনার ডিজাইনটি হতে পারে একটি কম্পানির লগো,বিজনেস কার্ড, ফ্লায়ার ইত্যাদি।
বই লেখা
আপনি যদি একজন লেখক হয়ে থাকেন তাহলে আপনি একটু কস্ট করে যদি একটি ভালো মানের বই লিখতে পারেন তাহলে তা বিভিন্ন মাধ্যমে বিক্রি করতে পারবেন।আর সেটি হতে পারে অনলাইন মার্কেটপ্লেস। এখন অনলাইন সব মার্কেট প্লেসে প্রচুর বই বিক্রি হয়।
এরকম টেকনোলজি ও অনলাইন আর্নিং ব্লগিং টিপস এন্ড ট্রিক্স বিষয়ক বিভিন্ন বিষয় বস্তু জানতে আমাদের ওয়েবসাইট টি ফলো এবং ই-মেইল দিয়ে সাবস্ক্রাইব করে আমাদের পাশে থাকুন।তাহলে আমরা টেকনোলজি বিষয়ক কোন পোস্ট করার সাথে সাথে আপনার ই-মেইল এ অথবা আপনার মোবাইলে একটি নোটিফিকেশন পেয়ে যাবেন।ধন্যবাদ।
Post a Comment