মোবাইল দিয়ে টাকা আয় করার ৮ টি বিশেষ উপায় || A To Z || Techbng.com
মোবাইল দিয়ে টাকা আয় করার উপায়



মোবাইল দিয়ে টাকা আয় করার ৮ টি  উপায়

আসসালামুয়ালাইকুম, আমরা অনেকেই মোবাইল দিয়ে টাকা আয় করতে চাই। কিন্তু কিভাবে মোবাইল দিয়ে টাকা আয় করতে হয় সে সম্পর্কে অনেকেই জানি না। অনেকেই ভাবি মোবাইল দিয়ে টাকা আয় করা কি সম্ভব? আমি বলব হ্যা মোবাইল দিয়ে টাকা আয় করা সম্ভব। আবার অনেকেই বিভিন্ন অ্যাপস এর মাধ্যমে ইনকাম করতে গিয়ে প্রতারিত হয়েছে। কিন্তু আজকে আমি এই পোস্ট এর মাধ্যমে এমন কিছু মোবাইল দিয়ে টাকা আয় করার উপায় সম্পর্কে আপনাদেরকে জানাব যে গুলো অনুসরন করলে আপনি মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

{tocify} $title={Table of Contents}

মোবাইল দিয়ে টাকা আয় করার উপায়।বিস্তারিত এখানেঃ

মোবাইল দিয়ে টাকা আয় করার অনেক উপায় আছে চলুন আস্তে আস্তে জেনে নেই

মোবাইল দিয়ে কিভাবে টাকা আয় করা যায়?

কথায় আছে ইচ্ছা থাকলে উপায় হয়। আজকের যুগ ইন্টারনেটের যুগ। আপনি চাইলে বর্তমানে আপনার মোবাইল এর মাধ্যমে আপনি প্রতি মাসে ভালো মানের টাকা আয় করতে পারেন।মোবাইল দিয়ে আয় করা যায় এমন কিছু মাধ্যম নিচে উল্লেখ করা হলোঃ

মোবাইলের মাধ্যমে ব্লগিং করে আয়

ব্লগিং এর জনপ্রিয়তা আস্তে আস্তে বেড়েই চলেছে।এখন অনেকেই আছে যারা ব্লগিং করে মাসে ভালো অংকের টাকা ইনকাম করছে। মোবাইল দিয়েও এখন ব্লগিং করে অ্যাডসেন্স এর মাধ্যমে ইনকাম করা যায়। আপনি চাইলে এখন blogspot.com থেকে ফ্রিতে একটি ওয়েবসাইট তৈরি করে ব্লগিং ক্যারিয়ার শুরু করতে পারেন।এজন্য আপনাকে এক টাকাও খরচ করতে হবে না। কারন blogspot.com থেকে ওয়েবসাইট তৈরি করলে আপনি একটি ফ্রি সাব-ডোমেইন পেয়ে যাবেন আর হস্টিং লাইফটাইম ফ্রি। যখন আপনি নতুন ব্লগিং শুরু করবেন তখন একটি টপ লেভেলের ডোমেইন কিনে নিয়ে blogspot.com থেকে ওয়েবসাইট টি তৈরি করা ভালো হবে। কারন নতুন অবস্থায় আপনাকে আর হস্টিং খরচ লাগবে না। আর টপ লেভেলের ডোমেন থাকলে আপনি সহজেই গুগল অ্যাডসেন্স পেয়ে যাবেন।এর পর থেকেই আপনার ইনকাম শুরু হবে।এর পরবর্তিতে যখন আপনার ওয়েবসাইটটি একটি পর্যায়ে এসে পৌছাবে তখন আপনি চাইলে সেখান থেকে অ্যাফিলিয়েট আর্নিং সহ বিভিন্ন মাধ্যমে ইনকাম করতে পারবেন।

ইউটিউব চ্যানেল থেকে মোবাইল দিয়ে আয়

আজকের এই সময় ইউটুবে ভিডিও তৈরি করে অনেকেই লাখ লাখ টাকা ইনকাম করে যাচ্ছে।আপনাকে ইউটিউব থেকে ইনকাম করতে হলে প্রথমেই জিমেইল একাউন্ট থেকে একটি ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করে নিতে হবে।তার পর আপনার যে বিষয় ভালো লাগে সে বিষয় নিয়ে ইউটিউবে নিয়মিত ভিডিও আপলোড দিতে হবে।দেখবেন আস্তে আস্তে আপনার ভিডিও গুলোর ভিউ বাড়তে থাকবে এবং আপনার সাবস্ক্রইবার সংখ্যা বাড়তে থাকবে।ইউটুব থেকে ইনকাম করতে হলে ইউটুব চ্যানেল এর কিছু শর্ত পূরণ করতে হবে।যথা:

  • ইউটুব চ্যানেল এ ১০০০ সাবস্ক্রাইবার থাকতে হবে।
  • ৪০০০ ঘণ্টা ওয়াচ-টাইম থাকতে হবে আপনার চ্যানেলে।
  • উপরোক্ত শর্ত গুলো অবশ্যই গত এক বছরের মধ্যে পূরন করতে হবে।

আপনার ইউটুব চ্যানেলে উপরোক্ত শর্তগুলো পূরণ হয়ে থাকলে আপনার ইউটুব চ্যানেলটি মনিটাইজেশন এর জন্য গুগোল অ্যাডসেন্স এর কাছে আবেদন করতে হবে।আপনার ইউটুব চ্যানেলটি মনিটাইজেশন এর উপযুক্ত হলে অ্যাডসেন্স অ্যাপ্রুভ হবে।আর একবার অ্যাডসেন্স অ্যাপ্রুভ হলে এর পর থেকে আপনার ইনকাম শুরু হয়ে যাবে।
আপনি যখন একটু ইউটুব এ জনপ্রিয় হয়ে যাবেন।মানুষ যখন কিছুটা আপনাকে চিনতে শুরু করবে তখন আপনি আরোও কিছু মাধ্যম ব্যবহার করে ইনকাম করতে পারবেন। যেমন যখন আপনি কিছুটা জনপ্রিয় হয়ে যাবেন তখন কিছু কম্পানির লোক আপনার মাধ্যমে তাদের পন্য স্পন্সর করা হবে এজন্য আপনাকে তারা নির্দিষ্ট পরিমান অর্থ অফার করবে। এছাড়াও আপনি চাইলে অ্যাফিলিয়েট লিংক শেয়ার করে ইনকাম করতে পারেন।তাই আপনি চাইলে মোবাইল এর মাধ্যমে ইউটিউব চ্যানেল খুলে ইনকাম করতে পারেন।

মোবাইল এর মাদ্ধমে ফেসবুক পেজ খুলে আয়

জনপ্রিয় ওয়েবসাইট গুলোর মদ্ধে ফেসবুক এখন শির্ষে অবস্থান করছে। আজকের সময় ফেসবুক ব্যাবহার কারির সংখা অগণিত। ইউটুবের মত ফেসবুকও তাদের পার্টনার প্রোগ্রাম চালু করেছে। যে কেউ চাইলে একটি ফেসবুক পেজ খুলে ভিডিও তৈরির মাধ্যমে ফেসবুক পার্টনার প্রোগ্রাম এর সাথে যু্ক্ত হয়ে ইনকাম করতে পারে।এজন্য তাকে ফেসবুকের কিছু শর্ত পূরন করতে হবে যথাঃ 

  • আপনার ফেসবুক পেজ এ দশ হাজার এর বেশি ফোলোয়ার থাকতে হবে।
  • ভিডিও গুলো অবশ্যই তিন মিনিটের বেশি হতে হবে
  • এক মিনিট সময় ধরে ভিডিও গুলো দেখেছে এরকম তিরিশ হাজার ভিউ থাকতে হবে আপনার ভিডিও গুলোতে।


আপনি যদি ফেসবুকের উল্লেখিত শর্ত গুলো মানতে পারেন তাহলে আপনি ফেসবুকের মনিটাইজেশন পাবেন।মনিটাইজেশন পেলে আপনি আপনার ফেসবুক পেজ থেকে আপনার ভিডিও গুলো থেকে ইনকাম কর‍তে পারবেন।

এর পর ইউটুবের মতো স্পন্সর ও অ্যাফিলিয়েট এর মাধ্যমে ইনকাম করতে পারেন।


বিঃদ্রঃআপনি চাইলে আপনার ইউটুবের ভিডিও গুলো ফেসবুক পেজে ব্যাবহার করতে পারেন।এতে করে আপনি দুই জায়গা থেকেই ইনকাম করতে পারেন।


মোবাইল এর ইমেজ বিক্রি করে আয়

আপনি যদি ছবি তুলতে ভালোবাসেন, ছবি তুলা যদি আপনার একটি শখ হয়ে থাকে তাহলে সেই শখকে আপনি টাকা ইনকামের এটি একটি রাস্তা বানিয়ে ফেলতে পারেন।এমন কিছু ওয়েবসাইট রয়েছে যেখানে ছবি বিক্রি করা হয় যেমনঃ

  •  শাটার স্টক ডটকম
  • ফ্রি ইমেজ 
  • ক্লাশট
  • আগরা ইমেজ

আবার এমন অনেক মানুষ আছে যারা ছবি কিনে থাকে। 

আপনি চাইলে আপনার তোলা ছবি এই ওয়েবসাইট গুলো থেকে ছবি সেল করে টাকা আয় করতে পারেন-techbng


বিক্রয় ডটকম থেকে আয়

বিক্রয় ডটকম হলো পুরাতন জিনিসপত্র সেল দেওয়ার একটি ওয়েবসাইট। আপনি এখানে আপনার পুরাতন জিনিসপত্র যেমন সাইকেল,আলমারি,মোবাইল,হুন্ডা ইত্যাদি পন্য বিক্রি করতে পারেন।এজন্য আপনার হাতে থাকা মোবাইল দিয়ে পানি যে পন্যটি সেল দিতে চাচ্ছেন ঐ পন্যটির ছবি তুলে একটি পোস্ট করতে হবে।

যার ঐ পন্যটি পছন্দ হয় সে আপনাকে টাকা দিয়ে পন্যটি কিনে নিবে।এভাবে আপনি চাইলে বিক্রয় ডটকম থেকে পুরাতন জিনিসপত্র বিক্রি করে আয় করতে পারেন।

ওয়েবসাইট এ ছোট ছোট কাজ করে মোবাইল দিয়ে আয়

এমন কিছু ওয়েবসাইট রয়েছে যেগুলো থেকে সামান্য কিছু কাজের বিনিময়ে টাকা ইনকাম করা যায় যেমন কোন যায়গায় সাইন-আপ করা, কারোও ইউটুব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করে দেওয়া, কারো আবার ওয়েবসাইট ভিজিট করা ইত্যাদি।

এসব কাজের বিনিময়ে টাকা দেওয়া হয়।

এমন একটি জনপ্রিয় সাইট হলোঃ

  • picoworkers.com
নতুন এন্ড্রয়েড ফোন কেনার পর করণীয়
 

মোবাইলে টিউশনি করে আয় করতে পারেন

যেহুতু আজকে সবকিছু প্রায় হাতের মুঠোয়। তাই আপনি চাইলে একটি মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ঘরে বসেই হাজার হাজার ছাএকে পড়াতে পারবেন।এতে করে আপনাকে কোন ঝামেলা পোহাতে হবে না। অনলাইনে টিউশনি করাতে যা যা লাগবে

  • বিনা দ্বিধায় লেকচার দেওয়ার দক্ষতা।
  • উপযুক্ত বিষয় মানুষকে বোঝানোর দক্ষতা।
  • একটি মোবাইল ফোন
  • হাই স্পিড ইন্টারনেট কানেকশন।

উপরোক্ত যোগ্যতা ও উপকরন গুলো আপনার কাছে থাকলে আপনি অনলাইনে নিজের একটি ফেসবুক ফেন পেজ অথবা ইউটুব চ্যানেল বানিয়ে মোবাইল এ টিউশনি শুরু করে দিতে পারেন। আপনার যদি কোন কিছু না থাকে তাহলে 


  • বিডি টিউটরস ডটকম
  • বিডি হোম টিউটর ডটকম
  • টিউটর সেবা ডটকম 


উপরক্ত ওয়েবসাইট গুলো থেকে আপনি অনলাইন টিউশনি শুরু করে দিতে পারেন।


বিকাশে রেফার করে ইনকাম

আপনি চাইলে বিকাশ দিয়েও ইনকাম করতে পারেন।কারন বিকাশ প্রতি রেফারে দিচ্ছে ১০০ টাকা করে বোনাস। আপনার আশে পাশে কারোও বিকাশ একাউন্ট খুলে দিয়ে পার প্রতি ১০০ টাকা করে ইনকাম করতে পারেন।


আজকে আমি এই পোস্ট এর মাধ্যমে মোবাইল দিয়ে টাকা আয় করার উপায় এমন কয়েকটি উপায় সম্পর্কে আলোচনা করেছি। আপনার কাছে কোন উপায়টি ভালো লেগেছে অবশ্যই কমেন্ট করতে ভুলবেন না।

আপনাদের জিজ্ঞাসিত সাধারন প্রশ্ন ও উত্তর


প্রশ্নঃ ব্লগিং করতে কি কি লাগে?


উওরঃব্লগিং করতে তেমন কিছুর প্রয়োজন নেই। ব্লগিং করতে কেবল মাত্র তিনটি জিনিসের প্রয়োজন

১.মোবাইল অথবা কম্পিউটার

২.ইন্টারনেট কানেকশন

৩.একটি ওয়েবসাইট

উপরোক্ত তিনটি জিনিস থাকলে আপনি ব্লগিং শুরু করতে পারেন।


প্রশ্নঃইউটুব চ্যানেলে কত সাবস্ক্রইবার থাকলে গুগল অ্যাডসেন্স এ আবেদন করা যাবে?


উওরঃআপনার ইউটুব চ্যানেলে যদি গত এক বছরে ১০০০ সাবস্ক্রইবার ও ৪০০০ ঘন্টা ওয়াচটাইম থাকে থাকে তাহলে আপনি গুগল অ্যাডসেন্স এ আবেদন করতে পারবেন।


প্রশ্নঃblogspot.com থেকে ওয়েবসাইট তৈরি করলে কি অ্যাডসেন্স পাওয়া যাবে?


উওরঃ হ্যা blogspot.com থেকে ওয়েবসাইট তৈরি করলে  অ্যাডসেন্স পাওয়া যাবে।সাথে সাথে blogspot.com থেকে ওয়েবসাইট তৈরি করলে হোস্টিং লাইফটাইম ফ্রি।


প্রশ্নঃ ব্লগিং ভালো না ইউটুবিং ভালো?


উওরঃআমি বলবো আপনার কাছে যে বিষয় টি ভালো লাগে আপনি সেই বিষয়টি শুরু করে দিতে পারেন।আপনি চাইলে ব্লগিং ও ইউটুবিং দুইটাই একসাথে শুরু করে দিতে পারেন।


এরকম টেকনোলজি ও অনলাইন আর্নিং বিষয়ক বিভিন্ন বিষয় বস্তু জানতে আমাদের ওয়েবসাইট টি ফলো এবং ই-মেইল দিয়ে সাবস্ক্রাইব করে আমাদের পাশে থাকুন।তাহলে আমরা টেকনোলজি বিষয়ক কোন পোস্ট  করার সাথে সাথে আপনার ই-মেইল এ অথবা আপনার মোবাইলে একটি নোটিফিকেশন পেয়ে যাবেন।

ধন্যবাদ। 


Post a Comment

Previous Post Next Post