ডাটা এন্ট্রি করে আয় করার সহজ ৫ টি উপায় সমূহ
আসসালামুয়ালাইকুম,আজকের যুগ ইন্টারনেট এর যুগ।আর ইন্টারনেট মানেই হলো বিশাল তথ্যের সমারোহ। বর্তমানে ইন্টারনেট এর বিস্তৃতির ফলে অসংখ মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে। এখন কাজ করার জন্য অফিস এ যাওয়ার প্রয়োজন পড়ে না। চাইলে ঘরে বসেই অফিস এর কাজ করা যায়। এছাড়াও একদেশ থেকে অন্য দেশের ক্লাইন্টের কাজ ইন্টারনেটের মাধ্যমে ঘরে বসে সহজেই করে ফেলা যায়। ইন্টারনেটে অসংখ্য কাজ রয়েছে তার মধ্যে একাটি কাজ হলো ডাটা এন্ট্রির কাজ। বর্তমানে ডাটা এন্ট্রির কাজ করে অনেকেই মাসে ৫০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকা পর্যন্ত ইনকাম করে থাকে।ডাটা এন্ট্রি যেহুতু একটি সহজ কাজ তাই এর জনপ্রিয়তাও বেশি।
আজকে আমি এই পোস্টে ডাটা এন্ট্রি করে আয় করার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। ডাটা এন্ট্রি সম্পর্কে জানতে হলে এই পোস্টের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত দেখুন।
{tocify} $title={Table of Contents}
ডাটা এন্ট্রি করে আয় করার উপায় সমূহ -Techbng.com
ডাটা এন্ট্রি কি?
ডটা অর্থ তথ্য আর এন্ট্রি অর্থ স্থাপন করা অর্থাৎ ডাটা এন্ট্রি হলো এক স্থান থেকে অন্য স্থানে প্রদত্য তথ্য কে স্থানান্তর করা।ডাটা এট্রি কাজ বিভিন্ন রকম হতে পারে যেমনঃ ইন্টারনেটে বিভিন্ন স্থান থেকে আপনাকে ডাটা খুজে বের করতে হতে পারে, এমনও হতে পারে যে কোন তথ্য ইমেজ আকারে আছে সেখান থেকে প্রদত্য তথ্য কে পিডিএফ আকারে সাজাতে হতে পারে এছাড়াও ডাটা এন্ট্রির কাজ বিভিন্ন রকম হতে পারে।
ডাটা এন্ট্রি করতে কি কি যোগ্যতা লাগে?
ডাটা এন্ট্রি কাজের জন্য তেমন বেশি একটা শিক্ষাগত যোগ্যতা না থাকলেও চলবে। কিন্তু অবশ্যই ইংরেজি জানতে হবে। তা না হলে যখন বিদেশি কারো সাথে কথা বলতে সমস্যায় পড়তে হবে। এজন্য কারো সথে কথা বলার মতো ইংরেজি জানতে হবে।
এছাড়াও কিছু বিষয়ে দক্ষতা থাকতে হবে।যেমনঃ
- গুগল থেকে কোন তথ্য বের করার দক্ষতা।
- দ্রুত গতিতে টাইপিং করার দক্ষতা।
- মাইক্রোসফ্ট ওয়ার্ড ও এক্সেল এ দক্ষ হতে হবে।
- কম্পিউটার সম্পর্কে বেসিক ধারনা থাকতে হবে।
উপরে আলোচিত বিষয় গুলো সম্পর্কে যদি আপনার তেমন ধারনা না থাকে তাহলে তাহলে এই সেক্টরে কাজ করাটা আপনার জন্য নয়। এই ডাটা এন্ট্রি জগতে ঢুকতে হলে আপনাকে অবশ্যই উপরে উল্লেখিত বিষয় সম্পর্কে দক্ষ হয়ে আসতে হবে।
কেথায় ডাটা এন্ট্রির কাজ পাওয়া যায়?
ইন্টারনেট এ ডাটা এন্ট্রির কাজ করার জন্য অনেক গুলো ওয়েবসাইট রয়েছে যেমনঃ
- ফ্রিল্যান্সার ডটকম
- আপওয়ার্ক ডটকম
- ফাইবার ডটকম
- পিপলপারআওয়ার
উপরে উল্লেখিত ওয়েবসাইট ছাড়াও আরোও এমন কিছু ওয়েবসাইট রয়েছে যেগুলোর মাধ্যমে বায়ার এসে প্রচুর পরিমানে ডাটা এন্ট্রির কাজ দিয়ে থাকে।আপনি চাইলে কাজের দক্ষতা অর্জন করে উল্লেখিত ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইট গুলো থেকে ইনকাম শুরু করে দিতে পারেন।
নিচে কিছু ডাটা এন্ট্রির কিছু ধরন সম্পর্কে আলোচনা করা হলোঃ
ইমেজ দেখে ডাটা এন্ট্রি করা
ডাটা এন্ট্রির কিছু কাজের মধ্যে একটি হলো ইমেজ দেখে টাইপ করা।এই পদ্ধতিতে বায়ার আপনাকে কিছু ইমেজ পাঠাবে। আপনাকে সেই ইমেজ থেকে টাইপিং করে পিডিএফ বা এক্সেল আকারে বায়ারকে প্রেরন করতে হবে। এজন্য বায়ার আপনাকে নির্দিস্ট অর্থ প্রেরন করবে।
তার জন্য আপনাকে ইমেজ দেখে টাইপ করার দক্ষতা অর্জন করতে হবে।
অডিও শুনে ডাটা এন্ট্রি করা
নাম শুনেই বুঝা যায় অডিও শুনে ডাটা এন্ট্রি করা কাজটা আসলে কি।এটি একটি বিরক্তিকর ও কস্টের কাজ বললেও ভুল হবে না এক্ষেএে আপনার প্রচুর ধৈর্য শক্তি থাকা জরুরী। কারন বায়ারের ইংরেজিতে দেওয়া অডিও ভোয়েস শুনে আপনাকে তা মাইক্রোসফ্ট ওয়ার্ড বা এক্সেল এ ফাইল আকারে তৈরি করতে হবে।এবং পরবর্তিতে তা বায়ার কে প্রেরন করতে হবে।অবশ্যই আপনাকে অডিওটি বার বার শুনতে হবে।তা না হলে টাইপিং এ ভুল হওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায়।
কপি করে পেস্ট করে ডাটা এন্ট্রি করা
ডাটা এন্ট্রি কাজের মধ্যে সবচেয়ে সহজ কাজ এটা। একটি ফাইল আপনাকে বায়ার দিয়ে দিবে আপনাকে সেখান থেকে হুবহুব লেখা গুলো কপি করে আপনাকে টাইপিং করে বায়ারকে পাঠাতে হবে।যে খুব দ্রুত টাইপিং করতে পারেন তার জন্য এই কাজটি করা লাভবান হবে বলে আমি মনে করি।
হাতের লেখা দেখে ডাটা এন্ট্রি করা
হাতের লেখা দেখে ডাটা এন্ট্রি করাও একটি জনপ্রিয় কাজ। এজন্য আপনার মানুষের হাতের লেখা দেখে টাইপিং করার দক্ষতা থাকতে হবে। তাহলেই আপনি এই কাজটি করতে পারবেন।এজন্য ক্লাইন্ট আপনাকে কাগজের প্রিন্ট পাঠাবে আপনাকে সেই কাগজে থাকা হাতের লেখা গুলো হুবহু টাইপিং করতে হবে। আপনি চাইলে এই কাজটি করতে পারেন।
ক্যাপচা পূরন করে ডাটা এন্ট্রি করা
এতক্ষন যে গুলো ডাটা এন্ট্রির কাজ সম্পর্কে বললাম সব গুলো থেকে এই কাজটি ভিন্ন।এই কাজটি খুবই সহজ কাজ। কিছু ক্যাপচা দেওয়া থাকবে আপনাকে সেই ক্যাপচাগুলো শুধু পূরন করতে হবে।ক্যাপচা পূরন কাজ গুলোর জন্য আলাদা ওয়েবসাইট রয়েছে যেমন
- ProTypers
- 2Captcha
- MegaTypers
- Kolotibablo
- CaptchaTypers
উপরক্ত ওয়েবসাইট গুলো থেকে আপনি চাইলে ক্যাপচা পূরন এর কাজ গুলো করতে পারেন।
ক্যাপচা পূরন এ ভালো কিছু করতে হলে অবশ্যই আপনাকে দ্রুত টাইপিং করা শিখতে হবে।
পেমেন্ট মেথড
আমারা সবাই কমবেশি জানি যে বাংলাদেশ থেকে ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ করতে গিয়ে পেমেন্ট উঠানোর সময় ঝামেলায় পড়তে হয়।কারন বাংলাদেশ থেকে সরাসরি ব্যাংকে ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইট গুলো থেকে টাকা পেমেন্ট নেওয়া যায় না। ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইট গুলো থেকে টাকা পেমেন্ট নিতে হলে আপনার একটি ডুয়েল কারেন্সি মাস্টার কার্ড বা ভিসা কার্ড থাকতে হবে।যদি আপনার মাস্টার কার্ড বা ভিসা কার্ড না থাকে
তাহলে অবশ্যই একটি পেয়নিয়র একাউন্ট থাকতে হবে। তাহলে আপনি সহজেই পেয়নিয়র একাউন্ট থেকে বাংলাদেশ এর যে কোন ব্যাংক এ টাকা উইড্রো করতে পারবেন।
শেষ কিছু কথা
আমি আজকের এই পোস্ট এ জানানোর চেস্টা করেছি কিভাবে ডাটা এন্ট্রি করে আয় করা যায়।
আশা করি আপনার একটু হলেও উপকার হয়েছে। এ সম্পর্কে আরোও কোন কিছু জানার থাকলে অবশ্যই আমাদের কে কমেন্ট করে জানাবেন।
এরকম টেকনোলজি ও অনলাইন আর্নিং বিষয়ক বিভিন্ন বিষয় বস্তু জানতে আমাদের ওয়েবসাইট টি ফলো এবং ই-মেইল দিয়ে সাবস্ক্রাইব করে আমাদের পাশে থাকুন।তাহলে আমরা টেকনোলজি বিষয়ক কোন পোস্ট করার সাথে সাথে আপনার ই-মেইল এ অথবা আপনার মোবাইলে একটি নোটিফিকেশন পেয়ে যাবেন।
ধন্যবাদ।
Post a Comment