সিম কার্ড কি? সিম কার্ড এর সুবিধা ও অসুবিধা
সিম কার্ড কি


সিম কার্ড কি? সিম কার্ড কি কাজ করে এবং এর সুবিধা ও অসুবিধা 

আসসালামুয়ালাইকুম,আশাকরি ভালো আছেন।আমাদের যাদের মোবাইলফোন আছে যারা আমরা মোবাইল ব্যাবহারকারি রয়েছি তারা অবশ্যই সিম কার্ড এর সাথে পরিচিত। কিন্তু আমরা কি জানি সিম কার্ড কি – সিম কার্ড এর আসল কাজ কি ও এর পুরো নামটাই বা কি। আজকে আমরা এই পোস্ট এর মাধ্যমে সিম কার্ড নিয়ে অজানা সকল প্রশ্ন ও এর ইতিহাস সম্পর্কে জানব।সিম কার্ড নিয়ে বিস্তারিত বিষয়-বস্তু জানতে এই পোস্ট টি সম্পূর্ণ পড়ুন।

সিম কার্ড কি?

SIM এর পূর্ণরূপ হচ্ছে Subscriber Identity Module। সিম কার্ড হলো একধরনের চিপ যুক্ত কার্ড যা মোবাইল এ প্রবেশ করালে তা একটি নেটওয়ার্ক সিস্টামের সাথে যুক্ত হয়। যার ফলে আপনাকে যে সিম প্রভাইডার থেকে নাম্বার দেওয়া হয়েছে সেই নাম্বারটি থেকে আপনার আপনার তথ্য সিম কার্ড এ সংরক্ষিত থাকে।এবং ঐ নাম্বারে কেও কঅল দিলে তা সরাসরি আপনার কাছে এসে পৌছায়।

সিম কার্ড কে আবিষ্কার করেন?

১৯৯১ সালে গেসিকি এন্ড ডেভরিয়েন্ট নামক এক কম্পানি প্রথম এই সিম কার্ড চালু করেন। পরবর্তিতে তা ফিনলেন্ডের এক কম্পানির কাছে বিক্রি করে দেওয়া হয় এবং সেখান থেকে সিম কার্ড এর পথচলা শুরু হয়।

সিম কার্ড কিভাবে কাজ করে?

প্রতিটি সিম কার্ডে একটি IMSI নাম্বার দিয়ে দেওয়া থাকে যেটির প্রথম ৩ ডিজিট আপনার দেশের কান্ট্রি কোড থাকে। বাংলাদেশের কান্ট্রি কোড হচ্ছে +880 যেটি আপনার IMSI নাম্বার এর প্রথমে থাকে। IMSI এর পূর্ণরূপ International Mobile Subscriber Identity।সিম কার্ড এর কাজ হচ্ছে একজন ব্যাক্তির নাম্বার থেকে অন্য ব্যাক্তির নাম্বারে যোগাযোগ স্থাপন করা। 

সিম কার্ড ডেটা স্টোরেজ

হ্যা সিম কার্ডে ডেটা সংরক্ষনের জন্য সিম কার্ডের ভিতরে আলাদা স্টোরেজ দেওয়া হয়ে থাকে। কিন্তু তা খুবই সামান্য এতে করে মাত্র ২৫০ টি মোবাইল নাম্বার সেভ করে যায়।

সিম কার্ডের সুবিধা কি কি

একটি সিম কার্ডের অনেকগুলো সুযোগ সুবিধা হয়ে থাকে যথা

  • কল দেওয়া ও তা রিসিভ করা যায় খুব সহযে। যার ফলে দূর-দূরান্ত থেকে তথ্য একজন থেকে অন্য জনে আদান প্রদান করা সম্ভব হয়েছে
  •  সিম কার্ডটই নেটওয়ার্কের সাথে যুক্ত থাকে বিধায় ইন্টারনেট আদান প্রদান করা যায়।
  • বর্তমানে সিম কার্ড এর ফলে মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে সহযেই এক যায়গা থেকে অন্য যায়গায় টাকা আদান প্রদান করা যায়। 
  • একটি সিমকার্ড অনেক ফোনে ব্যাবহার করা যায় বলে এটি আরোও জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে।
  • ডিজিটাল মার্কেটিং করে কিভাবে টাকা আয় করা যায়

সিম কার্ডের প্রকারভেদ

সিম কার্ডেকে ৪ ভাগে ভাগ করা হয়ে থাকে।সিম কার্ডের আকারের ভিত্তিতে একে নির্ধারন করা হয়েছে যথা

১.স্টান্ডার্ড সিম কার্ড

এই সিম কার্ড গুলোর আকার হচ্ছে ২৫*১৫ mm স্টান্ডার্ড সিম কার্ড গুলো আগের মোবাইল গুলোতে সাধারনত ব্যাবহার করা হয়

২.মাইক্র সিম কার্ড

এই সিম কার্ড গুলোর আকার হচ্ছে ১৫*১২ mm। এই সিম কার্ড গুলো ২০১০ সালের পরে যে মোবাইল গুলো বাজারে এসেছে ঐ মোবাইল গুলোতে এই সিম কার্ড গুলো ব্যাবহার করা হয়েছে

৩.ন্যানো সিম কার্ড

এই সিম কার্ড গুলোর আকার হচ্ছে ১২.৩*৮.৮ mm। এগুলো এখনকার মবাইলে ব্যাবহুত হয়।

৪.ই-সিম কার্ড

এই সিম কার্ড গুলো আগে থেকে মবাইলে মাদার্বোডের সাথে যুক্ত থাকে। এগুলোকে খালি চোখে দেখা যায় না।আই ফোন সহ কিছু বিশেষ ফোনে ওগুলো দেখতে পাওয়া যায়।

এরকম টেকনোলজি ও অনলাইন আর্নিং বিষয়ক বিভিন্ন বিষয় বস্তু জানতে আমাদের ওয়েবসাইট টি ফলো এবং ই-মেইল দিয়ে সাবস্ক্রাইব করে আমাদের পাশে থাকুন।তাহলে আমরা টেকনোলজি বিষয়ক কোন পোস্ট  করার সাথে সাথে আপনার ই-মেইল এ অথবা আপনার মোবাইলে একটি নোটিফিকেশন পেয়ে যাবেন ধন্যবাদ। 

আরোও জানুন


Post a Comment

Previous Post Next Post